महकमा शासक ने यौन कर्मियों के साथ मनाया भाई फोटा का त्यौहार

खड़गपुर। घाटाल के महकमा शासक सुमन बिश्वास आज भाई फोटा के दिन घाटाल के मयरापुकूर में सेक्स वर्करों की बस्ती में जाकर उन्हें दीदी कहकर संबोधित किया व साथ ही उनके साथ भाई फोटा की रस्म निभाई व फिर उन्हें नए कपड़े, कंबल व मिठाई उपहार में दिए। उनके इस पहल की  सराहना की जा रही है।

ज्ञात हो कि जिन सेक्स वर्करों का चेहरा भी देखना लोग पसंद नही करते है व सभ्य समान में जिनकी कोई इज्जत नही करता है। ऐसे में एक बड़े अधिकारी का उनके बीच जाना व भाई दूज की रस्म निभाना वाकई काबिले तारीफ है। महकमा शासक सुमन विश्वास ने करीब-करीब 1 घंटे उन सेक्स वर्करों के साथ समय बिताया और प्रशासन की ओर से उन्हें हर संभव मदद का भरोसा जताया। इस अवसर पर उनके साथ सांसद प्रतिनिधि रामपद मान्ना, घाटाल पंचायत समिति के सभापति दिलीप माझी, कर्माध्यक्ष विकास कर, घाटाल के ओसी देबांशु भौमिक, एसआई कौशिक सेन व समाजसेवी नारायण भाई, इंडियन रेड क्रॉस सोसाइटी के रिलीज इंचार्ज शुभदीप सिंह राय व अन्य उपस्थित थे।

ঘাটালের পতিতাপল্লীতে ভাঁইফোটা নিলেন মহকুমাশাসক,ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দিলীপ মাজি ,কর্মাধ্যক্ষ বিকাশ কর, সমাজসেবী নারায়নভাই, রামপদ মান্না ,ঘাটাল ওসি দেবাংশু ভৌমিক, কৌশিক সেন, প্রশাসক, শুভদীপ সিংহ রায় রিলিফ ইনচার্জ ঘাটাল রেডক্রস সোসাইটি ঘাটাল ব্রাঞ্চ ।

শত দুঃখের মাঝে চোখের কনে সকলেরই জল, কিন্তু আজ ওদের চোখের কোনে জল তার কারণ আনন্দের জল ওরা জানালেন ।

সকলেই বলছেন ছোটবেলাতে তারা হারিয়েছে পরিবার, তাই ভুলতে বসেছিল ভাইফোঁটা, আর সেই পুরনো স্মৃতি আবার ফিরে পেয়ে চোখের কনে ওদের জল ।

কারণ দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবার সেই পুরনো স্মৃতি ফিরে এলো। খবরটা জানতে পেরেছিল শুক্রবার বিকেল নাগাদ, হঠাৎ করে ওদের পাড়াতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশকর্মীরা। তারাই বললেন মহকুমা শাসক ও এলাকার বিশিষ্ট জনেরা আসবেন , আমরাও আসবো কাল আপনাদের বাড়িতে আপনাদের কাছে ভাইফোঁটা নিতে!

কথাটা প্রথম প্রথম শুনে ওরা বিশ্বাস করতে পারেনি।
তারপরে ওরা কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ভাইয়েরা আসবে কিভাবে ভাইফোঁটা দেবে, তাই ভাবতে পারেনি।

শনিবার সকাল থেকে বাড়ি ঘর পরিষ্কার করে প্রদীপ জ্বালিয়ে শাঁক নিয়ে মিষ্টির থালা সাজিয়ে ওরা বসেছিল। তারপর আসলেন মহকুমা শাসক ঘাটালের পুলিশকর্মী থেকে শুরু কর এলাকার বহু গুনিজনেরা।

তারা আসলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের ( বিবেকানন্দ মোড় এলাকার দুর্বার পল্লীর পল্লীতে)
দুর্বার পল্লীর মহিলাদের কাছে ভাইফোঁটা নিতে ।

আসার পরে বেশ কিছুক্ষণ কথা বার্তা হয় ভাই বোনেদের সাথে, তারপরে সমস্ত রীতিনীতি মেনে ওরা মনে মনে উচ্চারণ করলেন ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
তার পর ধান দূর্বা মাথায় ছিটিয়ে ভাইয়েদের দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন, যাতে বছর বছর ভাইয়েদের কপালা ফোঁটা দিতে পারে দিদিরা।
আমাদের ভাইয়েরা যেন চিরসুখী হয়।

আর ভাই রাও ফোঁটা নিয়ে দিদিদের অন্তর থেকে আশীর্বাদ করলেন এক কথায় এর আগে কখনোই এইভাবে ঘাটালের দুর্বার পল্লী এলাকায় ভাইফোঁটা পালন হয়নি।

কিন্তু আজ তা হল ঘাটাল মহকুমাপ্রশাসন ও রেডক্রস সোসাইটি উদ্যোগে এই আয়োজন।
ভাইয়েরাও দিদিদের জন্য এনেছিলেন উপহার, শাড়ি থেকে শুরু করে খাবার থালা। সমস্ত কিছু পেলেন দিদিরা। কিন্তু দিদিরা জানালেন না-পাওয়ার প্রচুর যন্ত্রণা আছে, প্রতিনিয়ত কষ্টে দিন কাটে, কিন্তু শত কষ্ট কে চাপা রেখে আজ আনন্দ পেলাম।
এ আনন্দ ভুলবার নয়, আমরা চাই প্রতি বছর আসুক এই দিনটি।

যোদিও মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন তিনি আজকে প্রথম ফোঁটা লিলেন ওই দুর্বার পল্লীর মহিলাদের কাছে ।

এককথায় দুর্বার পল্লী মহিলারা কিছুক্ষণের জন্য আজ চরম আনন্দে মেতে উঠেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0 Shares
  • 0 Facebook
  • X (Twitter)
  • LinkedIn
  • Copy Link
  • Email
  • More Networks
Copy link