खड़गपुर, सागरदीघी उपचुनाव जीतने के बाद उत्साहित कांग्रेस पंचायत चुनाव में अब तक एकला चलो रे की नीति अपनायी हुई है।
Click link
पश्चिम मेदिनीपुर जिला कांग्रेस की ओर से रविवार को मेदिनीपुर शहर के विद्यासागर हाल में पंचायत राज नामक सम्मेलन हुआ जिसमें कार्यकर्ताओं को जिले की लगभग सभी सीटों पर उम्मीदवार देने की बात कही गई।
गठबंधन पर किसी भी नेता ने बात नहीं की। सभा को प्रदेश कांग्रेस कार्यकारी सभापति नेपाल महतो, प्रीतम घोष, कौस्तुभ बागची, जिलाध्यक्ष समीर राय व अन्य वक्ताओं ने संबोधित किया। जिला महासचिव बुद्धदेव भट्टाचार्य ने कहा कि आज की सभा में गठबंधन को लेकर कोई चर्चा नहीं हुई।
खड़गपुर नगरपालिका के पार्षद रीता शर्मा ने सभा को संबोधित करते हुए कहा कि गांव गांव में बदलाव का माहौल है इसलिए हमें एकजुट हो लड़ना होगा व ज्यादा से ज्यादा सीटें जीतनी होगी। उन्होने जोट की संभावना से इंकार करते हुए कहा कि हम अकेले दम पर ही विरोधियों को परास्त करेंगे। कांग्रेस के पीसीसी नेता अमर चटर्जी ने कहा कि प्रशासन को देखना होगा कि सभी लोग नामांकन दाखिल कर सके व शांतिपूर्ण मतदान हो।
আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে এই জেলার পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে।
সম্মেলনে জেলার প্রত্যেকটি ব্লকের অঞ্চল সভাপতি ও বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তা ও সাধারণ কর্মী সহ মোট 650 জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় মহিলাদের উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই সভায় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী নেপাল মাহাতো, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এই জেলার পরিদর্শক শ্রী প্রীতম ঘোষ এবং প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র যুব নেতা কৌস্তভ বাগচি উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী শ্যামল ঘোষ সহ জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শ্রী চিরঞ্জীব ভৌমিক, সহ সভাপতি শ্রীচিত্ত মুখার্জি, শ্রী শান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জীব দত্ত, শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কোষাধ্যক্ষ শ্রী সূর্য বেরা, মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী শ্রীমতি রিতা শর্মা সহ বিভিন্ন জেলা কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্রী সমীর রায়।
সম্মেলনে নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
১) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি— গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার মানুষ এক চরম প্রহসন প্রত্যক্ষ করেছিল। মনোনয়নে বাধা, প্রচার করতে না দেওয়া থেকে গণনার সময় ভোট প্রার্থী বা তার এজেন্টকে গণনা স্থল থেকে বলপূর্বক বহিষ্কার করা – সবই দেখেছে মানুষ। এবারের নির্বাচন তাই শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব এই সম্মেলন গ্রহণ করে।
২) দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তির দাবি— গ্রাম বাংলার পঞ্চায়েতে দুর্নীতি আজ এক স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। সামান্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রাসাদোপম বাসভবন আজ দিকে দিকে দৃশ্যমান। এক দিকে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করার দক্ষতাহীনতা, আর একদিকে অর্থের চূড়ান্ত তছরুপ – গ্রাম বাংলার সুষ্ঠু উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। অবিলম্বে পঞ্চায়েতের সমস্ত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এই সম্মেলন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের প্রস্তাব গ্রহণ করছে।
৩) চাকরি চোরেদের ঘুষের টাকা ফেরতের দাবি — শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার নামে উৎকোচ গ্ৰহণে এ রাজ্য সারা বিশ্বে চুরির এক রেকর্ড স্থাপন করেছে। প্রতিদিন সেইসব দুর্নীতি ধরা পড়ছে। কোর্টের রায়ে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের চাকরি গেছে, যারা টাকা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি কিনেছিলেন। এইসব অশিক্ষিত মূর্খদের ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দিয়ে সারা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। এইসব শিক্ষক নিয়োগের ফলে আগামী দিনের প্রজন্ম শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। এইসব কোটি কোটি টাকার আসল গন্তব্য স্থল কোথায়, তা অনুসন্ধান করে মানুষকে জানানোর এবং সেইসব ব্যক্তি – তিনি যিনিই হোন না কেন, তাদের উপযুক্ত শাস্তি বিধানের প্রস্তাব এই সম্মেলন গ্রহণ করছে।
৪) যত অধিক সংখ্যক আসনে সম্ভব প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব — গান্ধীজী নির্দেশিত গ্রাম স্বরাজের পুর্ণ বিকাশ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব। দেশ বিক্রির চক্রান্তে লিপ্ত বিজেপি বা চোরদের সংগঠন টিএমসির মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। গ্রাম স্বরাজের পূর্ণবিকাশ ও গ্রাম উন্নয়নের পুর্ণ দিশা একমাত্র কংগ্রেসই দিতে পারে। তাই এই দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রামে আমাদের সংগঠনকে আরো সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রতিটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, যাতে আগামী দিনে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামীণ বিকাশের পুর্ণ দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারি।
তাই যত অধিক সম্ভব আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব এই সম্মেলন গ্রহণ করছে।
৫) আলুর ন্যূনতম বিক্রয়মূল্যের ও অন্যান্য প্রস্তাব —
গ্রামীণ অর্থনীতি সম্পর্কে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। কৃষিক্ষেত্রে সরকারি ব্যর্থতা ও উদাসীনতা সর্বক্ষেত্রে কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ আলু চাষে চাষীদের চরম হেনস্থা। বীজ ও সারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও কালোবাজারির ফলে চাষীর উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কিন্তু সে বিক্রয় মূল্য পাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলার ন্যায় আমাদের এই জেলারও অধিকাংশ অঞ্চল আলু চাষের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। অবিলম্বে আলোর নূন্যতম বিক্রয় মূল্য কুইন্টাল পিছু এক হাজার টাকা ধার্য করার প্রস্তাব এই সম্মেলন গ্রহণ করে। এবং এই সম্মেলন আমাদের জেলায় একটি আলু গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করারও প্রস্তাব গ্রহণ করে।
মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে এদিন ৬৭ জন মহিলা ও পুরুষ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে নেতৃবৃন্দ কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পরে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।